সারা বাংলা

ক‌্যাম্পের পাশের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা: রোহিঙ্গা নারী আটক 

কক্সবাজারের টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টাকালে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে পৌনে ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিম লেদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের ১৬ এপিবিএন-এর অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় আটক রকিমা খাতুন (৫০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের বি-ব্লকের ১০৫৩ নম্বর শেডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এজাহার মিয়ার বাড়িতে এক নারী কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালায়। এসময় তার (এজাহার মিয়া) এক ছেলে ঘটনাটি দেখতে পায়। সেসময় ওই নারী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে কেরোসিনের জারসহ ওই নারীকে ধরে ফেলে।

‘স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক বিষয়টি এপিবিএন সদস্যদের জানায়। খবর পেয়ে এপিবিএন এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেরোসিনের জারসহ ওই নারীকে আটক করে।”

এপিবিএন এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এজাহার মিয়ার বাড়িটি বাঁশ-গাছের তৈরি কাঁচা ঘর। আগুন লাগানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ফেলায় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আগুন লেগে গেলে তা স্থানীয়দের বসতঘরসহ পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিল।’

আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনায় আটক নারীর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম।

এর আগে গত শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।

তারও আগে গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং অনেকে আহত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা বসতি এবং অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ। এছাড়া স্থানীয়দের দুই শতাধিক বসতঘর ও দোকানসহ নানা স্থাপনা আগুনে পুড়ে যায়।