সারা বাংলা

মুজিবনগরে হিট শকে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

হিট শকের কারণে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ধানের গাছে থোড় থেকে শীষ বের হওয়ার পরপরই শীষের রঙ সাদা হয়ে ছিটে পড়ছে। 

গত ৪ এপ্রিলের কাল বৈশাখী ঝড়ের পর থেকে ধান গাছে এ রোগ লেগেছে বলে দাবি এলাকার শত শত কৃষকের। 

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে মুজিবনগর উপজেলায় মোট তিন হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফসলের আশায় কৃষকের পাশাপাশি আশায় বুক বেঁধেছিল মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস। 

মাজরা পোকা শীষ কেটে দিচ্ছে নাকি ধানের ডগা মরা রোগ লেগেছে, নাকি ধানে ব্লাস্ট রোগ হতে যাচ্ছে তা নিয়ে কৃষকের দুঃচিন্তা কমতি না থাকলেও মুজিবনগর কৃষি অফিস ধানের তাপমাত্রা দূর করে ফসল ঘরে তুলতে কুলিং সিস্টেমের পরামর্শ দিচ্ছে।

মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন জানান, এ মৌসুমে তিনি তিন বিঘা জমিতে ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। ক্ষেতের ধান দেখে তিনি আশায় বুধ বেঁধেছিলেন এ মৌসুমে কাঙ্খিত ফলন পাবেন। কিন্তু সম্প্রতি তার জমির ধানের শীষ সাদা হয়ে চিটে হয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি দুঃচিন্তায় আছেন। 

তার মতো এলাকার আবুল হাশেম, হায়দার আলীসহ অনেক কৃষক মনে করছেন- ধানে ব্লাস্ট রোগ লাগতে পারে। এ ধরনের দুঃচিন্তায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান বলেন, ‘কাল বৈশাখীর পরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা ধানের ‘হিট শক’ রোগ ছাড়া অন্য কিছু না। অন্যান্য বছরে এ সময় অল্প অল্প বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর বৃষ্টি হয়নি। এ মুহূর্তে জমিতে অন্তত ২-৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। যাতে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও জমিতে পানি থাকায় তা কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে যদি তাপমাত্রা রাখা যায়, তাহলে এ সমস্যা হবে না।’

তিনি আরও বলেনম ‘যেখানে ঝড় হয়েছে, সেখানে পাতাপোড়া রোগ হতে পারে। ওইসব এলাকায় ৬০ গ্রাম এমওপি সার ও ৬০ গ্রাম থিওভিট ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে বিকেল বেলায় প্রতি পাঁচ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। এতে ভাল ফল পাওয়া যাবে।