সারা বাংলা

গাইবান্ধায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় 

গাইবান্ধায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জেলায় তোলপাড় চলছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের অবহিত করেছে।

রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলাশহরের ডিবি রোডে ব্যবাসায়ীদের মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু, সিপিবি নেতা ওয়াজিউর রহমান র‌্যাফেল, মিহির ঘোষ, বাসদ নেতা নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পিসহ নিহতের স্বজনরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, দাদন ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করা হলো। এই হত্যায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ এখনও মামলা নেয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগ নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযুক্ত নেতা মাসুদ রানাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু খায়ের ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ।

শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের খানকা শরিফসংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকায় মাসুদ রানার বাসা থেকে হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মাহফুজার বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আটক করা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।