খুলনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে গত ৩৬ ঘণ্টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেট ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
মৃতরা হলেন— মো. সোনামিয়া (৬৯), এন আর পারভীন (৫৮), শাহজাহান (৭০), নুরুল ইসলাম (৬৫), আবুবক্কর ভুঁইয়া (৭৫) ও মজিনা বেগম (৫১)।
এদিকে, শুক্রবার খুলনায় নতুন করে ৭৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৌলতপুরের রেলগেট সাহেব বাড়ি রোড এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী এন আর পারভীন মারা যান। তিনি করোনা আক্রান্ত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। একই দিন করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদরের বেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. সোনামিয়ার (৬৯) মৃত্যু হয়। তিনি ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
বৃহস্পতিবার খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনার শাহজাহান (৭০) ও যশোর সদরের নুরুল ইসলাম (৬৫) মারা যান। খুলনা মহানগরীসহ জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ শনিবার (১৭ এপ্রিল) মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অববস্থায় মারা যান নগরীর খালিশপুর হাউজিং এলাকার মৃত শামসুল হক ভুঁইয়ার পুত্র আবু বক্কর ভুঁইয়া (৭৫) । তিনি ১০ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া শনিবার ভোর রাতে মারা যান মর্জিনা বেগম (৫১)। তিনি পূর্ব রুপসার নিকলাপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী। তিনি ১২ এপ্রিল থেকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধী ছিলেন।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন। আটজন আইসিইউতে রয়েছেন। তবে, এ সংখ্যা প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে।