সারা বাংলা

খুলনা মহানগরীতে পঞ্চম দিনেও চলছে কঠোর লকডাউন

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন রোববারও সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে সীমিতভাবে।

এদিকে, সকাল থেকে রূপসা ঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশের ছয় সদস্যদের একটি টিম লকডাউন কার্যকরের জন্য ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

রূপসা ঘাটের কালেক্টর মেহেদী জানান, রোববার সকাল থেকে ঘাটের সকল ট্রলার পারাপার বন্ধ রয়েছে, তবে একটি ট্রলার রোগী পারাপার ও জরুরি কাজের জন্য যাত্রী পারাপার করছে। রূপসা ঘাটে ট্রলার পারাপার বন্ধ থাকলেও পার্শ্ববর্তী মাছ ঘাটে থেকে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে, রূপসা ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও জেলখানা ঘাটে ট্রলার চলাচল করছে, বন্ধ নেই ফেরি পারাপারও।

জেলখানা ঘাটের ট্রলার চালক শামিম জানান, গত ১৪ এপ্রিল থেকে এই ঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিলো, রোববার সকাল থেকে যাত্রী পারাপার করছে তারা। এছাড়া লকডাউনের মধ্যেও ফেরি চলাচল করছে।

লকডাউনের মধ্যেও বড়বাজারের কালিবাড়ী রোডের দোকানগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতই খোলা ছিলো। প্রতিটি দোকানের সামনে ট্রাকবোঝাই পণ্য আনলোডে ব্যস্ত ছিলো শ্রমিকরা। তবে নগরীর থানার মোড়ের দৃশ্য ছিলো একেবারেই ভিন্ন। যান চলাচল ছিলো একেবারেই কম। সাধারণ মানুষের উপস্থিত গত চারদিনের চেয়ে একটু বেশি থাকলেও সকলের মুখেই ছিলো মাস্ক।

এদিকে, থানার মোড়ে ইজিবাইক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়লা ঘাট এলাকার পাইকারী দোকানের ক্রেতাদের।

খালিশপুর এলাকার ঘের মালিক হাজী সিরাজুল ইসলাম জানান, খুব সকালে খালিশপুর থেকে বড় বাজারে আসতে পেরেছি, কিন্তু এখন আর কোনো ইজিবাইক পাচ্ছি না। লকডাউনে গাড়ি না থাকায় এই দুর্ভোগ হচ্ছে।

পিকচার প্যালেস মোড়ের রাস্তার পাশের দু’একটি ফলের দোকান বাদে সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে গত চার দিনের তুলনায় সকাল থেকে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিলো কিছুটা বেশি। এই মোড়ে ইজিবাইক না থাকলেও রিকশার চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।

অপরদিকে, খেলাধুলা মার্কেটের গলির মুখে লকডাউনের জন্য বাঁশ ও সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও মার্কেটের ভেতরে বেচা-কেনা চলতে দেখা গেছে। দোকানের বাইরে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের আগাগোনা পাহারায় রয়েছে মার্কেটের বেশ কিছু সদস্য।

সকাল থেকে ডাকবাংলা মোড়ের সকল দোকান বন্ধ ছিলো। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ডাকবাংলার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নির্বাহী ম‌্যাজিস্ট্রেটের একটি টিম কাজ করতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কিছু পথচারী ও মোটরসাইকেল চালককে জরিমানা করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম সকাল সাড়ে ১১টার পর ডাকবাংলা এলাকা ত্যাগ করার পর পরই দু’একটি জুতার দোকান ফুটপাতে জুতা বিক্রি শুরু করে।