সারা বাংলা

শ্রীপুরে লকডাউনে হাটের খাজনা মওকুফ

রমজান মাস ও লকডাউনের মধ্যে হাটের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছেন ইজারাদার। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া-সাতানি হাটের ইজারা মওকুফ করেছেন ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন অনন্ত।

হাটের দোকানদার লাল মিয়া বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমির কৃষিপণ্য এ হাটসহ আশপাশে কয়েকটি হাটে বিক্রি করেন। সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার ধনুয়া-সাতানি হাটে হাজার খানেক কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করেন। রমজান মাসে হাটে খাজনা বাড়ান ইজারাদার, আর ধনুয়া-সাতানি হাটে খাজনা মওকুফ করেছেন ইজারাদার, এটা প্রশংসনীয়।

কলা বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে গৃরস্থের গাছ থেকে কলা সংগ্রহ করে এ হাটে বিক্রি করেন তিনি। কলা বিক্রির সামান্য লাভ থেকে প্রতিহাটে ২০/৩০ টাকা খাজনা দিতে হতো। লকডাউনে হাটে ক্রেতা নেই। বিক্রিও কম। খাজনা মওকুফ হওয়ায় তার সুবিধা হয়েছে।

ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন অনন্ত বলেন, শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে ধনুয়া-সাতানি হাটের। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করেন এই হাটে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশব্যাপী লকডাউন থাকায় কৃষক পণ্যের দাম পাচ্ছেন না। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকের কথা ভেবে রমজান মাসে খাজনা মওকুফ করা হয়েছে।    সাদ্দাম হোসেন অনন্ত নিজের খরচে বেলদিয়া গ্রামে বৃদ্ধা আছিয়া বেগমকে হজে পাঠিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করেন। এছাড়াও নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার প্রতিবন্ধী জাকির হোসেনকে পাকা ঘর ও শ্রীপুরের অসহায় মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়ে আলোচনায় আসেন।