সারা বাংলা

এক সাঁকোতেই দশ গ্রামের মানুষের আসা-যাওয়া

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পঞ্চাশ বছর ধরে এক সাঁকোতেই চলছে দশ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের আসা-যাওয়া। আগে ছিলো বাঁশের সাকো। ব্রিজ না হওয়ায় এখন গ্রামবাসীর উদ্যোগে হয়েছে কাঠের সাঁকো।

মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীর কান্দি ইউনিয়নের ছোট হলদিয়া ভাষানচর খালের ওপর নির্মিত এই কাঠের সাঁকোটিই এখন দশ গ্রামের মানুষের ভরসা।

এলাকাবাসী জানায়, সরু এ সাঁকোর দু’পাশ থেকে একসঙ্গে লোকজন কোন মালামাল নিয়ে পারাপার হতে পারে না। একপাশের লোকজন পার না হওয়া পর্যন্ত অন্যপাশ থেকে সাঁকোয় উঠতে পারে না কেউ। তবু ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর ওপর দিয়ে এলাকাবাসীকে নিত্যদিন সব ধরনের মালামাল নিয়ে পার হতে হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরেই ভাষানচর খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনো সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।

তারা বলছেন, ভোটের সময় অনেকেই ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোট চলে গেলেই সব ভুলে যান।

ছোট হলদিয়া গ্রামের শিক্ষিকা তাসলিমা আখি বলেন, ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। অথচ ৫০ বছর ধরে দাবিটি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। এলাকার বয়স্ক ও কোমলমতি শিশুদেরও কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পার হতে হচ্ছে।

গত রোববার (১৮ এপ্রিল) এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানালেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এর নির্দেশক্রমে ভাষানচর খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ পাওয়া গেলে ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা হবে।