সারা বাংলা

বরিশালে হইচই ফেলে দিয়েছে রোবট ‘বঙ্গ’

‘বঙ্গ’ নামের রোবট তৈরি করে বরিশালে হইচই ফেলে দিয়েছেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজন। তার রোবটের কথা শুনে মুগ্ধ হচ্ছেন মানুষ।

বছর খানেক আগে শুভ কর্মকার নামে আরেক ক্ষুদে বিজ্ঞানী ‘রবিন’ নামের রোবট তৈরি করেছিলেন। শুভ’র ‘রবিন’ রোবট কথা বলে বাংলা ও ইংরেজীতে। আর সুজনের রোবট ‘বঙ্গ’ বাংলা, ইংরেজীর পাশাপাশি বলতে পারে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাও।   মজার ব্যাপার হচ্ছে মেধাবী এই দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানীর বাড়িই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা এলাকায়। দুজনই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। দুই শিক্ষার্থীর মধ্যেই যেন রোবট দিয়ে চমক লাগানোর প্রতিযোগীতা চলছে ।

জানা গেছে, মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করছেন গৈলার শ্রীপাশা গ্রামের জয়দেব-শবিতা পাল দম্পতি। এটাই তাদের পারিবারিক পেশা। তবে মাটির এই মূর্তি তৈরিতে কোন আগ্রহই নেই বাড়ির সবচেয়ে ছোট ছেলে সুজন পালের। কারণ বাবা-মায়ের তৈরি মূর্তি তো আর কথা বলে না। তাই মাত্র দুই মাসের চেষ্টার সুজন উদ্ভাবন করেছেন একটি কথা বলা রোবট।

গুগল, ইউটিউব থেকে রোবটিক্স এর নানা তথ্য একাট্টা করে, মাত্র ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কথা বলা রোবট উদ্ভাবন করেন সুজন। বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর সাথে মিল রেখে রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গ। সুজনের এই রোবট বঙ্গ বাংলা, ইংরেজীর পাশাপাশি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে চমকে দিচ্ছে মানুষদের।

জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম, জাতীয় ফুল, জাতীয় ফল, স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস কবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে ‘বঙ্গ’।

এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা ও চিকিৎসা এবং কৃষি বিষয়ক পরামর্শও দিতে পারে ‘বঙ্গ’। আগুনের সংবাদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসে জানাবে এই রোবট। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হলেও বিশেষ সংকেত দিতে পারবে ‘বঙ্গ’।

সুজন জানালেন, রোবটটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। এটিকে আরোও অত্যাধুনিক রোবটের রূপ দিতে চান এই উদ্ভাবক।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজনের রোবট উদ্ভাবনের খবরে উচ্ছসিত উপজেলা প্রশাসনও। তার তৈরি রোবটটি প্রযুক্তিগতভাবে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারের সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম।  

‘বঙ্গ’ নামের রোবটটি তৈরি করা হয়েছে ‘সোফিয়া’র অনুকরণে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে এটি দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন সুজনের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।