সারা বাংলা

সবুজ মাঠে বেগুনি ধানে মুগ্ধ কৃষক

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর এলাকার কৃষক সাদেক মোল্লা ‘বেগুনী ধান’ চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার বেগুনি রঙের ধানের ক্ষেত এলাকায় সাড়া ফেলেছে বেশ।

ধান গাছের পাতা হবে সবুজ, এটা সবারই জানা। কিন্তু সাদেক মোল্লা ক্ষেতের এ ধানের পাতার রঙ বেগুনি। তাই মানুষের মধ্যে তার ধান ক্ষেত নিয়ে খুবই কৌতুহল। তার এ ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন মানুষ।

সাদেক মোল্লা জানান, তিনি তার ২৮ শতাংশ জমিতে বেগুনি ধানের চাষ করেছেন। তার এ ক্ষেত দেখে আশপাশের অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও এ ধান চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধান ক্ষেত। বেগুনি রঙে ছেয়ে আছে মাঝখানের এক টুকরো জমি । প্রখর রোদে বেগুনি রঙ আরো গাঢ় হয়ে উঠেছে। পাকা বেগুনি ধান কাটছেন শ্রমিকরা। আর সে ধানকাটা দেখতেও ভিড় করছে লোকজন।

সাদেক মোল্লা বলেন, প্রথম নতুন জাতের বেগুনি ধান চাষ করেছি। আশা করি, ২৮শতাংশ জমিতে ২০ মণের অধিক ধান পাবো।

তিনি এ ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। অনেক কৃষক এরই মধ্যে তার কাছে ধানের বীজ চেয়েছেন বলে জানালেন।

মির্জানগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহতাজ মাহমুদ বলেন, সাধারণত ধানের পাতা সবুজ হয়। বেগুনী রঙ হওয়ায় সৌন্দর্যের পাশাপাশি বাজারেও এ ধানের চাহিদা অনেক বেশি। তবে এ ধানে চালও হালকা বেগুনি রঙের হয়।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, এটি চায়নার একটি জাত। চায়নার রাজ পরিবারের সদস্যরা একসময় এ ধানের ভাত খেতেন। ওই সময় রাজ পরিবার ছাড়া কেউ এ ধানের ভাত খেতে পারতেন না। ধানের পাতার রঙ বেগুনি ও পুষ্টিগুণ ভালো হওয়ায় এই ধানে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। উফশী ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন কিছুটা কম হলেও বীজের চাহিদা আছে। কৃষক বেগুনি ধানের বীজ বিক্রি করে বেশ লাভবান হবে।

এ বছর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক সাদেক মোল্লাসহ আরো দুজনকে বেগুনি ধানের বীজ দেওয়া হয় এবং চাষে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয় বলেও জানান তিনি।