মরিয়ম চান বিবির বয়স ১০৫ বছর। প্রায় ২৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। নেই কোনো সন্তান।
মরিয়মের আসল বাড়ি জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর এলাকায়। নিজের ঘর না থাকায় স্বামী মারা যাওয়ার পর চলে আসেন হবিগঞ্জ শহরে। বর্তমানে জেলার সদর হাসপাতাল সংলগ্ন অনন্তপুর এলাকায় থাকেন তিনি। এই হাসপাতালের গেইটের পাশে বসে সাহায্যের জন্য প্রতিদিন বসে থাকেন। ভিক্ষা করে প্রতিদিন যা পান, তাতে কোনো রকম কাটছিল তার জীবন। কিন্তু করোনাকালে তিনি আরও অসহায় হয়ে পড়েন। আগের মত ভিক্ষা করে টাকা পয়সা পান না। এ অবস্থায় তিনি কঠিন সময় পার করছিলেন। কোনো সময় খেয়ে বা না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছিল শতবর্ষী এই নারীকে। তাকে দেখার কেউ নাই।
বিষয়টি এমএ ওয়াহান নাঈমী নামে এক সমাজসেবক বিষয়টি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যাকে জানান। ঘটনাটি মোহাম্মদ উল্ল্যার মনে দাগ কাটে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অসহায় এই নারীর জন্য কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। সেই থেকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলীকে নির্দেশ দেন ওই অসহায় বৃদ্ধা নারীকে সহায়তা করার জন্য।
তার এই নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) এ নারীসহ আরেক অসহায় নারীকেও খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয় এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যার পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে ওসি মো.মাসুক আলী বলেন, ‘চলাফেরা করার জন্য এসপি স্যারের পক্ষ থেকে এ বৃদ্ধাকে একটি হুইলচেয়ার দেওয়া হবে।’
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মরিয়ম চান বিবি বলেন, ‘কেউ খোঁজ খবর নিচ্ছিল না। এ সময়ে সহায়তা করায় আমার বিরাট উপকার হয়েছে। এ সহায়তার কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। আল্লাহ তার মঙ্গল করবো।’