গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) সন্ধ্যায় জিএমপির কাশিমপুর থানায় কারখানার ব্যবস্থাপক মো. ইমতিয়াজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে ) সকালে গাজীপুর মেট্রো পুলিশের জাকির হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপ-কমিশনার জানান, মামলায় কাউন্সিলর মন্তাজ উদ্দিন মণ্ডল, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গনি, আবুল কাশেমসহ মোট ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামি আছিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কারখানার এমডি মো. ফারুক আহমেদের কাছে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ওই ব্যক্তিরা গত দুবছর ধরে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করলেও কাউন্সিলর ও তার লোকজন নিয়মিত হুমকিধমকি দিয়েছে। সবশেষ ঈদ উপলক্ষে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দিতে অস্বীকার করায় একপর্যায়ে কারখানায় শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মারধর করে। চাঁদা না দিলে কারখানার আরও বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়। মারধরের প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকরা গত ৩ ও ৪ মে ঢাকা ইপিজেড সড়ক অবরোধ করে। তিনি কারখানা ও তার শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মন্তাজ উদ্দিন মণ্ডল চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রো পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, মামলার আসামি একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।