নাম মো. আবু সালেহ মোল্লা (৪৫)। বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার কাউড়া গ্রামে। ভিটেমাটি ছাড়া অবশিষ্ট কোনো জমিজমা নেই। একটি ইঞ্জিন চালিত অটো রিকশা আছে। রিকশার চাকা ঘুরলেই বাজার হয়, না হলে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে উপোস থাকতে হয়।
লকডাউনে রিকশা চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে। তাই প্রায় বসেই থাকতে হয় সালেহ মোল্লাকে। মাঝে মাঝে রিকশা নিয়ে বের হলেও মহাসড়কে উঠতে পারেন না। হাইওয়ে পুলিশ রিকশা আটক করে নিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে তিনি কষ্টে আছেন তিনি।
সরকারিভাবে কোনো সহায়তাও মেলেনি। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারও কোনো খোঁজ খবর রাখেননি। এ অবস্থায় যেন থমকে গেছে তার জীবন।
জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বনবিটের বনে পরিত্যক্ত জ্বালানী সংগ্রহকালে তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
তিনি জানান, তার বাড়ির আশপাশের লোকজন সরকারি সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু তিনি পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে গেলে তারা শুধু আশার বাণি শোনান। লকডাউনের মধ্যে কিছু দিন অপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে টুকটাক দিনমজুরি করছেন। তবে প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না। এভাবেই চলছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে সহায়তা করা হবে।’