কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপে কেউ বা মোটরসাইকেলে, যে যেভাবে পারছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন। এ যেন বাড়ি ফেরার এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নেই সরকারি বিধিনিষেধ কিংবা করোনা মহামারির কারও যেন তোয়াক্কা।
গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সোমবার (১০ মে) সকাল হতে ঘরমুখো মানুষের গাজীপুর ছাড়ার এমন দৃশ্য চোখে পরে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ যানেই বাড়ি ফিরছেন তারা।
সরেজমিনে সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের সামনেই এমন ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষেরা। এসময় কম সংখ্যক যাত্রীকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে দ্খো গেছে।
মোটরসাইকেলে ঈশ্বরদী রওনা দিলেন, লতিফা ও তাহমিনা। তাদের দু’জনের সঙ্গে ৩টি ব্যাগ। ব্যাগসহ দুজনেই উঠলেন বাইকে। হেলমেট একটি থাকায় লতিফা খাতুন হেলমেট ছাড়াই রওনা হলেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে ওই দুই নারী আরোহী হাসতে হাসতে জবাব দিলেন ‘আমরা বিষয়টি এনজয় করছি।’
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানজটে আটকা পড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শফিকুল ইসলাম। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর তিনি পিকআপে উঠে পড়েন। তার মতো এমন আরও অনেকেই এভাবে যাচ্ছেন।
মোজাহিদ বিল্লাহ যাবেন জয়পুরহাট। সঙ্গে তার বোনও আছেন। ৩০ বছরের জীবনে কখনো মা-বাবা ছাড়া ঈদ করেননি জন্য এবারও তিনি ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি যাচ্ছেন।
ঠিক একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাতেও। যেখানেও হাইজ,সিএনজি করে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, মহাসড়কে এই মুহূর্ত কোথাও যানজট নেই। যানজট ও নিরাপত্তার জন্য গাজীপুরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ৫২৯ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।