সারা বাংলা

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি বছর ঈদের আগে এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও এ বছর তা নেই। অপর দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ওপর দিয়ে এরই মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে।

দূরপাল্লার বাস চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটর সাইকেল ও মুরগির খাঁচার উপর বসে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। করোনার ভয়কে ভুলে এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, সোমবার (১০ মে) সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৪১ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় করা হয়েছে দুই কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ে এই সেতু হয়ে ১২-১৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে ।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়কে সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় দূরপাল্লার বাস নেই। তবে চাপ রয়েছে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের। এ সব যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে। আবার সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

এই সড়কে পিকআপ নিয়ে যাচ্ছেন চালক মাছুদ রানা। আলাপকালে তিনি বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে কোন যানজট নেই। অন্যান্য ঈদে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল আসতে ৫-৬ ঘন্টা, আবার কখনও আরো বেশি সময় লাগতো। আজকে এক ঘন্টায় চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল এসেছি।

মাজেদুর রহমান নামে একজন যাত্রী বলেন, বাস না থাকায় গাড়ি পেতে সময় লাগলেও টাঙ্গাইল আসতে তেমন সময় লাগেনি। ঈদকে সামনে রেখেও স্বাভাবিক সময়ের মতো টাঙ্গাইল পৌঁছাতে পারছি।

অপর এক যাত্রী সুরাজ্জামান বলেন, বাইপাইল থেকে হাইসে আসলাম টাঙ্গাইলে। ভাড়া বেশি নিলেও কম সময়েই টাঙ্গাইলে এসেছি। মহাসড়কে গাড়ির চাপ আছে, তবে কোন যানজট নেই।

পিকআপের মুরগির খাঁচার উপর বসে যাওয়া সুলতান প্রামানিক বলেন, ভোর ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় দাঁড়িয়েছিলাম। ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রো পেলেও ফাঁকা ছিলো না। তাই মুরগির খাঁচার উপর বসে ৮শ টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। ঝুঁকি থাকলেও বাড়ি গিয়েই ঈদ করবো, তাই যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূব থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও যানবাহন আটকে নেই। সড়কে কোন যানবাহন বিকল হলে তাৎক্ষনিক রেকার দিয়ে অন্যত্র সরানো হচ্ছে।