সারা বাংলা

কেন বঞ্চিত হন সাগর পাড়ের জেলেরা

বরগুনার উপকূলীয় এলাকার মৎস্য শ্রমিকরা এখনও পাননি কাঙ্খিত জেলে কার্ড। তাই জেলেদের জন্য দেওয়া সহায়তা থেকে বার বার বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। 

জেলেদের অভিযোগ, যারা কোনো দিন জেলে পেশায় আসেননি, তাদের নাম নিবন্ধন হয়েছে জেলে তালিকায়। তাই সহায়তাও পাচ্ছে সেসব কথিত জেলেরা। আবার কিছু কিছু জেলে বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদের আত্মীয় স্বজনরা জেলে তালিকায় নিবন্ধিত হয়ে সহায়তা নিচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত জেলেরা।

দেশে ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে বঙ্গোপসাগরসহ সব কয়টি নদীতে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর এ কারণে বেকার হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার প্রায় লক্ষাধিক জেলে। 

অবরোধের এই সময়ে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের প্রতি বছরই খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার। বরগুনার পাথরঘাটা মাছের খাল ও তালতলীর জয়ালভাঙা এলাকার জেলেদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলে হওয়া স্বত্বেও তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি তারা। তাই কোনো ধরনের সহায়তাও পাচ্ছেন না। খেয়ে না খেয়ে কোনোভাবে দিনপার করতে হচ্ছে তাদের।

জেলেরা আরও বলেন, ‘ইউপি সদস্যদের সহায়তায় অন্যান্য শ্রেণি পেশার মানুষ জেলে তালিকায় নিবন্ধিত হয়ে লুট করছেন তাদের বরাদ্দের চাল।’

এদিকে যারা জেলে তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছেন— তাদেরও অভিযোগ, সহায়তার চাল পান না তারা।

তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নানান সমস্যার কারণে অনেক জেলেই পেশা বদলাচ্ছেন। তাই কিছুটা সমস্যা আছে। জেলে তালিকা সংশোধন করে প্রকৃত জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

সরকারি হিসেবে জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩৭ হাজার ২২ জন। তবে প্রকৃত জেলের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। 

এদিকে জেলে তালিকায় নিবন্ধিত হতে না পেরে মৎস্য শ্রমিক হিসেবেই জীবন পার করে দেন প্রকৃত জেলেরা। বঞ্চিত হন সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে।