সারা বাংলা

চা বাগানে দর্শনার্থীদের ঢল

করোনা সংক্রমণ রোধে বিধি-নিষেধের মধ্যেও সিলেটের চা বাগানে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডায় মেতেছেন সবাই। তবে বেশিরভাগ দর্শনার্থীই স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে উদাসিন।  তাদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। 

শনিবার (১৫ মে) সিলেটে ছিল বৈরী আবহাওয়া। কখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবার কখনও মুঘলধারেও বৃষ্টি ছিল। তবুও একটুখানি প্রশান্তি খুঁজে নিতে পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব মিলে ছুটে আসেন চা বাগানে।  কেউ ছুটে এসেছেন প্রাইভেটকারে, আবার কেউ এসেছেন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে। আর অনেকেই আসছেন দলবেঁধে মোটরবাইকে করে। 

লাক্কাতুরা আর মালনীছড়া চা বাগান সিলেট নগরেই কাছেই।  এ কারণে এ দুই বাগানে ভিড় বেশি ছিল দর্শনার্থীদের। ঈদের দিন বিকেলেও সেখানে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। আজও দলবেধে আসছেন দর্শনার্থীরা। তাদের হৈ-হুল্লোড়ে সেখানকার প্রকৃতির নিরবতা ভেঙেছে। বসেছে অস্থায়ী খাবারের দোকানও।

ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানালেন, ঈদে পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধব মিলে ঘুরতে যাওয়া হয়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে সিলেটের সব দর্শনীয় স্থানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই উন্মুক্ত স্থান হিসেবে শহরের পাশেই চা-বাগানে ঘুরতে এসেছেন তারা।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসা এহসান বলেন, কয়েক মাস ধরে পরিবার নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়নি।  বাসার পাশেই চা বাগান।  তাই ঈদের আমেজে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য তাদের নিয়ে চা বাগানে বেড়াতে বের হয়েছি।

ঘুরতে আসা তরুণ শফি আহমেদ বলেন, করোনার কারণে ভয় আছে।  তবে ভয়কে দূর করতেই প্রশান্তি খুঁজে নিতে চা বাগানে এসেছি। ঘরবন্দি থাকার একগুয়েমি কাটিয়ে নিজেকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে বন্ধুদের নিয়ে এখানে এসেছি।

শুধু চা বাগানই নয়, দর্শনার্থীরা ছুটে চলেছেন শহরতলীর বাইশটিলায়ও।  ভিড় ছিল সুরমা তীরের ক্বিনব্রিজ এবং কাজিরবাজার সেতুতেও। পাশাপাশি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কেও  দর্শনার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন অনেকে, যে কারণে সেখানেও ভিড় রয়েছে।

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোলাগঞ্জে ভারতী সীমান্তের জিরোপয়েন্টে সাদাপাথর, গোয়াইঘাটে ভারত সীমান্তের বিছনাকান্দি এবং জাফলং জিরোপয়েন্ট, জৈন্তাপুরের লালাখাল, কানাইঘাটের লোভাছড়াসহ দর্শনীয় সকল স্থানেই ভিড় ছিল, এমন তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।