সারা বাংলা

ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ছুটি শেষ করে ঈদের পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ।  যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

অন্যান্য বছর ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে ও পরে এই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলেও এ বছর ঈদের পর কোন যানজট বা ধীর গতি লক্ষ্য করা যায়নি।  এলেঙ্গা থেকে-জয়দেবপুর পর্যন্ত ছয় লেনের কাজ চলমান থাকলেও মানুষ চার লেনের সুবিধা পাওয়ায় স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছে।  তবে যাত্রীদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।  তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন দেখা গেছে তাদের।

এছাড়াও নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে চলছে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস।

সোমবার (১৭ মে) মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা, ঘারিন্দা, আশেকপুর, করটিয়া, দেলদুয়ার উপজেলার বাঐখোলা, নাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।  

এ দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে এরই মধ্যে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, রোববার (১৬ মে) সকাল ৬ টা থেকে সোমবার (১৭ মে) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।  টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪০ টাকা।

ঢাকাগামী যাত্রী আশরাফ আলী বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার ভাড়া দেড়শ থেকে দু’শ টাকা ছিলো।  ঈদকে কেন্দ্রে করে বাস কর্তৃপক্ষ তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা ভাড়া নিতো।  অথচ এ বছর ৪৫০ টাকা দিয়ে আমাকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।  করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে।  তেমনি ভাড়ার উপর যদি একটু নজর দিতো তাহলে আমাদের যাত্রীদের জন্য খুব ভাল হতো।’

হাইস চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রোববার আমি পৌনে দুই ঘন্টায় ঢাকার মহাখালী গেছি আজকে দেড় ঘন্টায় টাঙ্গাইল আসলাম। অন্যান্য সময় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগতো।  ঈদের ছুটি শেষে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট বা ধীর গতি না থাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও কম সময়ে গন্তব্যে ফেরা যাচ্ছে।’

সিরাজগঞ্জগামী বাসচালক ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় গণ পরিবহনের যাত্রীরা ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোতে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ফিরছে। সেখানে কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে মিডিয়ার সুবাধে দেশবাসী তা জানতে পেরেছে। মাঝখান থেকে দূরপাল্লার বাস চালকদের আয় বন্ধ থাকায় কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। টাকার অভাবে নির্দেশনা অমান্য হলেও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।’

গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ঈদ শেষ করে মানুষ কর্মস্থলে ফিরলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়াও মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস দেখা গেলে তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দূরপাল্লার বাসকে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।’