সারা বাংলা

পিকআপ ভ্যানই ভরসা তাদের

ঈদের ছুটি শেষ। যেকোনো উপায়ে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ। তাই বাধ‌্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে চলাচল করতে হচ্ছে। 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে করে যাতায়াত করতে দেখা গেছে মানুষজনকে। এদের প্রায় সবাই নিম্ন আয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। সিএনজি বা প্রাইভেটকারে অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহণ করায় অল্প খরচে কর্মক্ষেত্রে যেতে পিকআপ ভ্যানই তাদের একমাত্র ভরসা। 

সোমবার (১৭মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ নগরীর বাইপাস মোড়, পাটগুদাম ব্রিজ মোড় ও মাসকান্দা এলাকায় দেখা গেছে এই চিত্র। 

আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে আসা ঢাকামুখী এসব যাত্রীরা পিকআপ ভ্যানে করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। তবে এসব যানবাহনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

পিকআপের যাত্রী সবুজ হাসান। পেশায় গার্মেন্টসকর্মী। তিনি জানান, ঈদে গ্রামের বাড়িতে না এলে মন মানে না। তাই আসা। বেড়াতে এসে পকেটের সব টাকা শেষ। এখন প্রাইভেটকার ভাড়া করে যাওয়া সম্ভব না। তাই অল্প টাকায় ঢাকা যেতে কষ্ট করে পিকআপে যাত্রা করেছি।

আরেক যাত্রী দেলোয়ার হোসেন। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘বাসে ঢাকা গেলে পাঁচশ, আর মাইক্রোবাস বা প্রাইভেটকারে গেলে এক হাজার টাকা করে লাগছে। পিক-আপে তিনশো করে নিচ্ছে। তাই কম টাকায় যেতে খোলা পিকআপে করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রওনা করেছি।’

পিকআপ ভ্যান চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে পণ্য আনা-নেওয়া কমে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রী উঠিয়েছি। গাড়ি না চালাতে পারলে সংসার চলে না। তবে যাত্রী নিয়ে চলাচলে পুলিশের বাঁধাও আছে। ধরলে অনেক টাকা লাগে ছাড়াতে।

ময়মনসিংহ জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুব রহমান জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবুও অনেকেই নিষেধ অমান্য করে চলাচল করছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মানবিক কারণে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়।