সারা বাংলা

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে ট্রাক-পিকআপে ফিরছে মানুষ

করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে ট্রাক ও পিকআপে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। 

এ সুযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের যাত্রি পরিবহনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের চালকরা। 

এদিকে ট্রাক-পিকআপে দেদারসে যাত্রী পরিবহন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাস শ্রমিক ও মালিকরা।

সোমবার (১৭ মে) মহাসড়কের আশেকপুর, রাবনাবাই, রসুলপুর এলেঙ্গা সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী অসংখ্য ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে মানুষ ঢাকায় ফিরছে। সকাল থেকেই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে এসব পরিবহন। এছাড়াও সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে চলছে দূরপাল্লার বাস। গাদাগাদি করে মোটরসাইকেল আর ব্যক্তিগত গাড়িতে বহন করা হচ্ছে যাত্রী।

রসুলপুরে এক ফিলিং স্টেশনে কথা হয় বগুড়াগামী ট্রাক চালক মোতালেব মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পণ্য পরিবহনের চাপ নেই বলে সকালে পাবনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। গাড়িতে যাত্রী আছেন প্রায় ত্রিশজন। পরিবহনে জনপ্রতি পাঁচশ’ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানতে মামলা দিচ্ছে। এরপরও গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’ ওই ট্রাকের যাত্রী পোষাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক নূরু মিয়া বলেন, ‘পাবনা থেকে চন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। ছুটি শেষ। এদিকে বাস না থাকায় ট্রাকেই ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।’

কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে চলাচলরত দূরপাল্লার বাস আলম এক্সপ্রেস বাসের মালিক নূর আলম বিদ্যুৎ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আমার গাড়ি গতকাল রোববার সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ আমার বাসের সব যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি আটক রাখে। তবে পুলিশের সামনেই সেসব যাত্রী ট্রাকে করে ঢাকা, চন্দ্রাসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। বাসে যথাসাধ্য স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ট্রাকে তো এর বালাই নেই। তাহলে কীভাবে পণ্য পরিবহনের ট্রাকে যাত্রী নিয়ে সেতু পারাপারসহ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে?’

এলেঙ্গ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহনের অপরাধে আমরা মামলা দিচ্ছি। ঈদের ছুটিতেও মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। সোমবার (১৭ মে) বিকেল পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়েনি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।’