সারা বাংলা

বেপরোয়া চলাফেরা করায় মেয়েকে হত্যা করে বজলু : পুলিশ 

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের হাশেমতলাপাড়া সংলগ্ন ভৈরব নদীতে থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ স্থানীয় বজলুল রহমানের মেয়ে ববিতার। পরিবারের সবার অবাধ্য হয়ে বেপরোয়া চলাফেরা করায় বাবা ববিতাকে হত্যা করে ভৈরব নদে মরদেহ ফেলে দেয় বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসুল সামদানী এ তথ্য জানান।

এসআই রাসুল সামদানী জানান, গত ২৫ মার্চ স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে ভৈরব নদ থেকে অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তাকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেন। 

এসআই রাসুল সামদানী জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে মৃত নারীর গায়ের কামিজ দেখে নিখোঁজ ববিতার একটি ছবি সংগ্রহ করা হয়। ছবির কামিজের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পর ববিতার বাবা বজলুর রহমানকে শনিবার (২২ মে) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে ববিতাকে হত্যার দায় স্বীকার করে বজলুর রহমান। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। 

পুলিশের এই তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রাফিয়া সুলতানার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বজলুর রহমান জানিয়েছে, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মধ্যে ববিতা ছোট। তিন বছর আগে ববিতাকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বেলতলাপাড়া গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর ববিতা বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। পরিবারের সবার কথা অমান্য করে ইচ্ছেমতো চলাচল করতো। মাঝে-মধ্যে নিরুদ্দেশ হতো। আবার ফিরে আসতো। বজলুর রহমান মার্চ মাসের ২০ কিংবা ২১ তারিখ সন্ধ্যার দিকে লেগুনা নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের কাছে পৌঁছে ববিতাকে গলাটিপে হত্যা করে। তখন মরদেহ মাঠের মধ্যে কলা বাগানে ফেলে আসে। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ভৈরব নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার নামে বস্তা নিয়ে ওই বস্তায় মরদেহ ভরে ভৈরব নদীতে ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে বজলুর রহমান।