খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের গ্যারিসন লাল পিলার সংলগ্ন মাত্তমডাঙ্গায় খাদিজা আক্তার রুনু (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৩ মে) রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ মে) সকালে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
খাদিজা আক্তার রুনু মাত্তমডাঙ্গার মৃত শহীদদের মেয়ে। নিহতের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রুনুর মা আমেনা বেগম বলেন, ‘রোববার দুপুরের পর রুনুর এবং তার স্বামী মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেই। কিন্তু দুইজনের মোবাইলে বন্ধ পেয়ে ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রুনুর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখি তার লাশ পড়ে আছে।
বাড়ির মালিক মো. মেরাজ বলেন, কিছুদিন পরপরই সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান জানান, রুনুর সঙ্গে ডুমুরিয়ার এলাকার মামুনের প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তানাদি ছিল না। মাত্তম ডাঙ্গার মিরাজের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন তারা। রুনু গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতো এবং তার স্বামী মামুন পেশায় সিএনজি চালক।
এদিকে, খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে কেএমপির ডিসি নর্থ মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) অমিত বর্ধন, খানজাহান আলী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মামুন পলাতক রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।