সারা বাংলা

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলছে লঞ্চ, স্বস্তিতে শ্রমিকেরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান ‘লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। 

তবে ৪৮ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর আজ থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে।

সোমবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে করে যাত্রীসহ লঞ্চ শ্রমিক ও মালিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

এমভি রুনা লঞ্চের মাস্টার মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় দুই মাস ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আয় রোজগার করতে পারিনি। ধার দেনা করে কোনো রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। লঞ্চ চলাচল করলে প্রতিদিন নাস্তা ও খোড়াকি খরচ পাই। সেই সঙ্গে মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাই। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তা পাইনি। তবে আজ থেকে লঞ্চ চলাচল করায় একটু স্বস্তিতে আছি।’

লঞ্চের ড্রাইভার ধলা মিয়া বলেন, ‘করোনায় গত বছর লঞ্চ চলাচল বন্ধের সময়ে ভোগান্তিতে দিন পার করছি। এ বছরও দেড় মাসের বেশি সময় পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে ছিলাম। মালিক মহাজনেরা কিছুটা সহযোগিতা করলেও তা দিয়ে আর কয় দিন সংসার চলে। লঞ্চ করায় এখন মালিকদেরও আয় হবে, আমাদেরও বেতন দিতে পারবে।’

এমএল নার্গিস লঞ্চের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, ‘একটি লঞ্চ পরিচালনা করতে মাস্টার ১ জন, সহকারী মাস্টার ১ জন, ড্রাইভার ১ জন, সহকারী ড্রাইভার ১ জন,৪ জন ক্রু,১ জন বাবুর্চি,১ জন কেরানি,১ জন ম্যানেজার লাগে। দীর্ঘদিন করোনা প্রকোপের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিক বিপাকে ছিলো। সেই সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে দিন পার করেছে।’

পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী জানান, দীর্ঘদিন পরে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে লঞ্চ পারাপার শুরু হয়েছে। এতে লঞ্চ ঘাটে কর্ম চাঞ্চল্য বেড়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন হচ্ছে। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ২২ টি ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে ১২ টি লঞ্চ চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।