সারা বাংলা

বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ, রাঙ্গাবালীর ১৩ গ্রাম প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরআন্ডা, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবশে করে। এতে উপজেলার ১৩ গ্রাম ছাড়াও বেড়িবাঁধের বাইরের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা, নয়াচর, উত্তর চরমোন্তাজ, চরবেষ্টিন, মোল্লা গ্রাম, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরনজির, কোড়ালীয়া, কাউখালীচর, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মরাজাঙ্গী, চিনাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গোলবুনিয়া ও চরলতা।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত দিনের রেকর্ড অতিক্রম করবে এবারের ঘূর্ণিঝড়।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জানান, চালিতাবুনিয়া একটি ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানে বেড়িবাঁধ বলতে কিছু নেই। অনেক আগেই বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। নতুন করে বেড়িবাঁধ তৈরি না করায় জোয়ারের পানিতে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।চরমোন্তাজের ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া জানান, চরআন্ডার বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হলেই পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়। মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করছে। এতে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরেও কয়েকটি গ্রামের মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।