সারা বাংলা

ময়লার স্তূপ থেকে কঙ্কাল উদ্ধার, জানা গেলো পরিচয়

মামলার প্রায় নয় মাস পর ময়লার স্তূপ থেকে অজ্ঞাত উদ্ধারকৃত কঙ্কালের পরিচয় সনাক্ত করলো গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২০ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় কিশোর সোহান (১৪) নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে সোহানের পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু খুঁজে পাননি। নিখোঁজের তিন দিন পর ৬ আগস্ট তার মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (নং-২২০)।

গত বছরের ৩১ আগস্ট গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি খালের ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ময়লার স্তুপের মধ্যে একটি কঙ্কাল পড়ে থাকার সংবাদ পান নাজমা বেগম। কঙ্কালের পাশে একটি কালো রংয়ের ফুল প্যান্ট ও একটি হালকা গোলাপী রংয়ের ফুলহাতা পাঞ্চাবীর পোড়া অংশ বিশেষ এবং একটি প্লাস্টিকের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন তারা। 

এসব আলামত দেখে প্রাথিমিকভাবে ধারণা করা হয় কঙ্কালটি সোহানের। পরে এ ঘটনায় ওই কিশোরের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা (নং ৮৬) করেন। পুলিশ প্রায় দুই মাস তদন্ত করে মো. আজিজুল, মো. সাগর, হৃদয় ও সবুজ নামে চার জনকে গ্রেপ্তার করেন। 

পুলিশের ঊর্ধতনের নির্দেশে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরকে। পিবিআই মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত কঙ্কালের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে সোহানের মা ও তার বাবা আব্বাছ আলীর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। 

ডিএনএ পরীক্ষায় অজ্ঞাত মরদেহটি নাজমা ও আব্বাছ আলীর সন্তান বলে প্রমাণিত হয়। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ মো. সাগরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সোহান হত্যার কথা স্বীকার করে সাগর।

আসামী সাগরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়— সোহানের তাদের বন্ধু ছিল। তারা একসাথে চলাফেরা করত। ঘটনার কিছু দিন আগে সোহানকে তারা মারধর করে। সোহান তার বাবাকে ঘটনার কথা বলে দেওয়ায় তার বাবা সাগরকে ময়মনসিংহ মহাসড়কের আইল্যান্ডের গাছের সাথে বেধে জুতা ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। 

এছাড়াও ঘটনায় জড়িত আজিজুলকে সোহানের বাবা ২০০ পিচ ইয়াবাসহ পুলিশকে ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় আজিজুল ৩ মাস জেলও খাটে। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে তারা সোহানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।