সারা বাংলা

ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পানি বেড়েছে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে পানি বেড়েছে।

নদী তীরবর্তী নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার বহু কাঁচা ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো হিসেব করেনি জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৬ মে)সকালে বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল ঘটনার সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মো. মাসুদ রানা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এই সময়ের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ২২ নটিক্যাল মাইল। পূর্ণিমার প্রভাব এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এই দুই কারণে নদ নদী তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। তবে বরিশালে থেমে থেমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিনের তীব্র তাবদাহের পর বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ফলে জনজীবনেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

এদিকে, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় গোটা বরিশাল বিভাগের সকল সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে বিভাগে প্রস্তুত রাখা প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ২০ লাখের মতো মানুষ এবং কয়েক লাখ গবাদি পশু।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।