সারা বাংলা

পটুয়াখালীর ২০টি পয়েন্টে ৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার সদর, দুমকী, গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ২০টি পয়েন্টে বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের এক অংশের চার কিলোমিটার বাঁধ খোলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন, পটুয়াখালী পাউবোর র্নিবাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী।

তিনি জানান, পটুয়াখালীর সম্পূর্ণরুপে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা যায়নি। ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ নিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৬ মে) পটুয়াখালী জেলা শহরের একাধিক এলাকা তলিয়ে গেলেও এক ঘন্টার ব্যবধানে ভাটায় নেমে যায়। ফলে শহরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পায়। কিন্তু উপকূলের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করা জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে গ্রামের পর গ্রাম।  শত শত পরিবার তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে। এসব গ্রামের অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চিনাবুনিয়া, চরলতা, চরমোন্তাজ, চরবেষ্টিন, নয়ারচর, চরআন্ডা, কোড়ালিয়া এবং চরকাশেম, কলাগাছিয়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম। রাঙ্গাবালী উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাষ্য- দীর্ঘদিন ধরে মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চিনাবুনিয়া ও চরলতার বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। ফলে পনি প্রবেশ করে ওইসব ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে।  ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। নয়ারচর ও চরবেষ্টিনে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। আর আন্ডারচরের ভাঙা বাঁধ সংস্কার না করায় সেই চরেও দুইদিন পানি ঢুকে প্লাবিত হয়। কোড়ালিয়ার ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো গ্রাম তলিয়ে আছে।

দুই দফা জোয়ারের পানিতে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর,ধানখালী,লালুয়া ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে একাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে একাধিক মাছের ঘের। কলাপাড়া উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন নির্নয় করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।

দশমিনা উপজেলায় রনগোপালদি ও চরবোরাহনের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। শত শত মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষগুলো দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে।