সারা বাংলা

ভিসি কলিমউল্লাহর ব্যক্তিগত সচিব অবরুদ্ধ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ব্যক্তিগত সচিব আমিনুর রহমানকে তার অফিস ত্যাগের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে (১ জুন) অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একাংশ।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ। তাই তার পিএসও দায়িত্বে থাকতে পারেন না। এ কারণে তাকে তার কার্যালয়ে একঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এ বিষয়ে পিএস আমিনুর বলেন, ‘আমার কক্ষে তারা আসেন। আমি বলেছি, আপনাদের কথায় আমি অফিস ত্যাগ করতে পারি না। আমি ভিসির চাকরির মেয়াদ অর্থাৎ ১৩ জুন পর্যন্ত অফিস করবো। ভিসির চাকরি মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।’

গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভিসির মেয়াদ গতকাল (৩১ মে) শেষ হয়েছে। ভিসি নেই তো পিএস কীসের? আমরা তাকে সম্মানের সঙ্গে রুম থেকে বের হতে বলেছি। উনি বের হননি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে ২০১৭ সালের ১ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর উপ-উপাচার্য ছিলেন। সেখান থেকে ১২ জুন তিনি পদত্যাগ করেন এবং ১৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর ১৪ জুন তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে নিয়োগের যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, সেটা ছিল ১ জুন। প্রজ্ঞাপনে সেভাবে বলা থাকে না, আর বলা নেইও। বলা আছে, এই নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে। উপাচার্য যেদিন যোগদান করেছেন, সেদিন থেকে তার মেয়াদকাল শুরু হবে বলে উপাচার্য ধরেছেন। কিন্তু আমরা অন্য জায়গায় খবর নিয়ে দেখলাম- যেদিন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, সেদিন থেকে চার বছর গণনা করা হয়। এর মানে গতকালই (সোমবার/৩১ মে) তার চাকরি চার বছর পূর্তি হয়ে গেছে। ফলে এখানে ভিসির পিএসের অফিস করার কিছু নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘ভিসির মেয়াদ কবে শেষ হয়েছে, তা আমার জানা নেই। প্রজ্ঞাপন না দেখে বলতে পারবো না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদকাল নিয়ে যে ধোঁয়াশা চলছে। এখানে দুটি জিনিস আছে, সেটা হলো, যদি নিয়োগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি দেশের মধ্যে থাকেন, তাহলে সেটা পরের দিন থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা। যে তারিখে তার প্রজ্ঞাপন হয়েছে, তার পরের দিন থেকে যোগদান করে ইমপ্লাই হবে। এক্ষেত্রে বিদেশে থাকলে তিনি তার ছুটি শেষে যেদিন এসে যোগদান করবেন, সেদিন থেকে হিসাব হবে। তবে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ কী করেছেন, সেটা আমার জানা নেই।’