সারা বাংলা

বাগেরহাটে মে মাসে সংক্রমণ বেড়েছে ১২২ শতাংশ

বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত মে মাসে আগের ১২ মাসের তুলনায় সংক্রমণ ১২২ শতাংশ বেড়েছে।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটি জানা গেছে।

মে মাসে জেলার ৯ উপজেলায় ২৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যেখানে ২০২০ সালের মে থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ মাসে শনাক্ত হয় ১ হাজার ৩৬২ জন। অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে আক্রান্ত প্রায় ১১৪ জন। সেই তুলনায় গত মে মাসে আক্রান্ত বেড়েছে ১২২ শতাংশ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মে মাসের প্রথম দিকে বাগেরহাটে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ২০২০ সালের মে থেকে ২০২১ সালের ০১ জুন পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৬১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়ে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪২ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৬২ জন।

শনাক্তের দিক দিয়ে সব থেকে বেশি বাগেরহাটের সদর উপজেলা। এই উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ফকিরহাট। এই উপজেলা ২৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে সব থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মোংলা উপজেলা। এখন পর্যন্ত বন্দর নগরীর এই উপজেলায় ১৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ৬৩ জনের শনাক্ত হয়। আর সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জনের। এ কারণে এই উপজেলায় আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঈদের পরে হঠাৎ করে মোংলা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যায়। সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংক্রমিত কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন রয়েছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, গত মাসে বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ পূর্বের তুলনায় বেশ বেড়ে গেছে। করোনা সংক্রমণরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।