সারা বাংলা

মেয়েকে বিসিএস অফিসার দেখতে চেয়েছিলেন তুষ্টির বাবা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান তুষ্টির মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনাতে। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাকরুদ্ধ সকলেই। কেউ মেনে নিতে পারছে না তার এই অপমৃত্যুকে। মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে হারিয়ে স্তব্ধ এলাকাবাসী।

৬ জুন, রোববার সকালে রাজধানীর আজিমপুরের স্টাফ কোয়ার্টারের বাথরুম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান তুষ্টির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তুষ্টির বাবা নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর গ্রামের মোঃ আলতাব উদ্দিন বলেন, ‘৩/৪ দিন আগে আমার মেয়ে ভাড়া বাসায় উঠে। তার সাথে নেত্রকোনার আরো কয়েকজন মেয়েও ছিল। দিন কয়েক আগে ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। মেয়েকে বলেছিলাম, বিসিএস ক্যাডার হয়ে বাবা ও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে।’

কিন্তু মেয়েকে ঘিরে বাবার আশা আর পূর্ণ হল না। সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বাবা আলতাব উদ্দিন। মা হেনা আক্তার শুধু তুষ্টি তুষ্টি বলে চিৎকার করে কাঁদছেন।

তুষ্টির চাচা প্রভাষক ঈমাম হোসেন জানান, তার এই মৃত্যুতে কোন অভিযোগ না থাকলেও তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবো তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলেও জানান তিনি।

তুষ্টি আটপাড়া উপজেলার ধর্মরায় রামধনু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর মদন উপজেলার জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচ এস সিতে উত্তীর্ণ হন। তুষ্টির বড়ভাই মাসুদ মিয়া সৌদি আরবে চাকরি করেন। আরেক ভাই তুর্জয় মিয়া অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে,  সবচেয়ে ছোট ভাই মাহির বয়স ছয় বছর। বাবা আলতাব হোসেনের ব্যবসা ধান চালের।