সারা বাংলা

সড়ক যেন চাঁদের জমি

সুন্দরের উপমায় চাঁদের কথা বলা হলেও মহাকাশবিজ্ঞানীদের দাবি- চাঁদের জমি উঁচুনিচু খানাখন্দে ভরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কেও একই অবস্থা। এ জন্য এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বৃষ্টি সেই দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

সম্প্রতি বৃষ্টিতে মুশুরী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ভরাট থাকায় অনেক সময় গভীরতা বোঝা যায় না। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে পথচারীরাও চলাচল করতে পারছেন না। পাকা রাস্তার মাঝখানে জমেছে কাদা।

পাথরবাহী বড় ট্রাক এবং মালবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলা সদর, থানা পুলিশ, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, প্রধান ডাকঘর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হারিন্দা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে পারছি না। কারণ ছোট ট্রাক বা সিএনজি অটোরিকশা সড়ক খারাপ থাকার কারণে আসতে চায় না। এলেও বাড়তি ভাড়া চায়। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান বাড়ে।

অনেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে এলাকায় আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কটি এলজিইডির হলেও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাস্তাটি একাধিকবার সংস্কার করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিতও করেছি। দ্রুত সড়কের সংস্কার না হলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

ডেমার-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জামালউদ্দিন। এর আগে সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান ভুঁইয়া সহমত প্রকাশ করে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার সড়কের উভয়পাশ ৩ ফুট প্রশস্ত করে দ্রুত সংস্কার কাজ করা হবে।