সারা বাংলা

রাজশাহীতে মা ও নবজাতকের মৃত্যু, চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ

রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুরের মাইক্রোপ্যাথ ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে গিয়ে নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুলেছে প্রসূতির স্বজনরা। 

শুক্রবার (১১ জুন) রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্সসহ মালিকপক্ষ পালিয়ে গেছে। 

অভিযোগ উঠেছে প্রসূতি সুখী খাতুনকে রাজশাহী মেডিক‌্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

মৃত প্রসূতি সুখী খাতুনের স্বামী স্বপন ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে তার স্ত্রী সুখী খাতুনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মাইক্রোপ্যাথ ক্লিনিকের দালালরা ওই প্রসূতিকে সিজার করানোর কথা বলে ভাগিয়ে নিয়ে যায় মাইক্রোপ্যাথ ক্লিনিকে। তারপর থেকে প্রসূতিকে ক্লিনিকের মেঝেতে রাখা হয়। এরপর শুক্রবার (১১ জুন) সন্ধ্যার দিকে প্রসূতি সুখীর সিজার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘গাইনি ও প্রসূতি চিকিৎসক শারমিন সুলতানা সিজারিয়ান অপারেশনটি করেন। সিজারের পরে প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এতে সুখীর মৃত্যু হয়। এমনকি শিশুটিও অযত্নে মারা গেছে। ঘটনার পরে চিকিৎসক শারমিন সুলতানা ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে ওই ক্লিনিকের মালিকসহ নার্সরাও পালিয়ে যান। পরে ক্লিনিকের ম্যানেজার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার আমাদের চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।’

জাবেদ হোসেন খোকন নামের এক ব্যক্তি ওই ক্লিনিকের মালিক। তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক বুলবুল আহমেদের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এছাড়া চিকিৎসক শারমিন সুলতানার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া গেছে।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’