সারা বাংলা

সাতক্ষীরায় লকডাউন, হাসপাতালে ভর্তি বেড়েছে

সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় সপ্তাহের লকডাউনের ১ম দিন আজ। জেলায় সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনও কঠোর অবস্থানে।

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫১ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্তত ২৪৪ জন। মেডিক্যালে ১৪৯ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ জন করোনা আক্রান্ত ও বাকী ১০৮ জনই এসেছেন উপসর্গ নিয়ে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার বলেন, সদর হাসপাতালে ৪২ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন পজিটিভ ও বাকী ১৬ জনই উপসর্গে ভুগছেন।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, রোগীর চাপ বাড়ায় ৮৭টি বেড থেকে ১৩৫টি বেডে উন্নীত করা হলেও তাতে সংকুলান না হওয়ায় আজ আরো ১৫টি বেড বাড়ানো হয়েছে।  

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশি।  শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে, হাট বাজারগুলোতে ভিড় কম হলেও তারা যেন কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানতে চাচ্ছেন না।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।