সারা বাংলা

১১শ লোককে বৌভাতে দাওয়াত, জরিমানা

নাটোরে বুধবার (৯ জুন) থেকে শুরু হয়েছে সাতদিনের কঠোর লকডাউন। এমন লকডাউনেও ১১০০ লোককে দাওয়াত দিয়ে মহা ধুমধামে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের রনজিত। তবে পার পাননি, শেষ পর্যন্ত গুনতে হলো জরিমানা।

জানা যায়, রনজিত সরকারি চাকরিজীবী, স্থানীয়ভাবেও বেশ প্রভাবশালী। সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে রয়েছে তার পরিচিতি। তাই বিধিনিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছেলের বিয়েতে ১১০০ মানুষের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন। বিয়েতে আসা অনেকের মুখেই ছিলো না মাস্ক।  

স্থানীয়রা জানান, ওই বৌভাতের অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীও আমন্ত্রিত ছিলেন। প্রায় সাত মণ ওজনের একটি গরু ও তিনটি খাসির মাংস রান্না করা হয়। ৩০০টি সোনালী মুরগির রোস্টও হয়েছে এ বৌভাতে।

শনিবার (১২ জুন) বিকেলে ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বিভাগ গ্রামে অভিযান চালান লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার।

ইউএনও জানান, বিষয়টি আগেই জানার পর শুক্রবার (১১ জুন) স্থানীয় থানার পুলিশ পাঠিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে এমন আয়োজন না করে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে বলা হয়। কিন্তু সে আদেশ অমান্য করে তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ইউএনও। এ সময় তিনটি প্যান্ডেলের অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত রনজিত সরকারি নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে চাকরি করেন।  তার ছেলে নাজমুলকে ঈশ্বরদী বিয়ে করান।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রনজিত বলেন, অনেক আগে থেকেই আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দাওয়াত দেওয়া ছিলো। তারা আসায় আর ফেরাতে পারিনি। বারবার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা যায়নি। এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।