রাজশাহী মহানগরীতে সর্বাত্মক লকডাউনের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় সার্কিট হাউসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক প্রমুখ অংশ নেন।
সভা শেষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, পাড়া-মহল্লায় বাড়িতে বাড়িতে এখন করোনা রোগী। প্রথমে সাতদিন লকডাউন দিয়েও আশাব্যঞ্জক কোনো উন্নতি হয়নি। তাই আরও সাতদিন লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৪ জুন পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর লকডাউন থাকবে।
লকডাউন নিয়ে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজশাহীতে ঢুকেছে। তাই পাড়া-মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে এখন করোনা রোগী।
এর আগে গত ১০ জুন রাতে রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে ১১ জুন বিকাল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউনেও রিকশা-অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
ব্রিফিংয়ের আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, রিকশা-অটোরিকশা ধরলেই রোগী পাওয়া গেছে। প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে। তাই মানবিক কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে এবার সাতদিনের লকডাউন আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, মহানগরীতে লকডাউন থাকলেও উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। তাই জেলাও অঘোষিতভাবে লকডাউনের ভেতরে চলে আসছে। লকডাউন চলাকালে মহানগরীতে শুধু জরুরি সেবার অফিস খোলা থাকবে। অন্য সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, লকডাউন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে নির্দেশনা আছে ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। মহানগরীর সব মার্কেট, দোকানপাট, বিনোদন কেন্দ্র, হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ থেকে খাবারের পার্শ্বেল সার্ভিসও চালু থাকবে না। জরুরি ছাড়া রাজশাহী মহানগরীতে সব ধরনের গণপরিবহন ঢোকা নিষিদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও প্রতিদিন ১২-১৩ জন মারা যাচ্ছেন। এর প্রায় অর্ধেকই থাকছে রাজশাহীর রোগী।