সারা বাংলা

টঙ্গী রেললাইনে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বাজার, চলছে চাঁদাবাজি

ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গীর এই রেলপথেই প্রতিদিন চলে শতজোড়া ট্রেন। তবে এখানে রেলাইনে শুধু ট্রেনই চলে না, বাজারও বসে। নিত্যদিনের খুব পরিচিত একটা দৃশ্য হলো ট্রেনের হুইসেল শুনলেই দোকানিরা এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, লেভেল ক্রসিং না থাকায় প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।

গাজীপুরের টঙ্গীর বৌ-বাজার এলাকায় রেললাইন দখল করে গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। রেললাইনের দুইপাশ ও মাঝখানের অংশটি দখল করে চলছে বাজার ব্যবসা। ১৪-১৫ বছর ধরে রেলের এসব জায়গা অবৈধ দখলে নিয়ে ব্যবসা করছে দখলদাররা। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নেই কোনো নজরদারি।

স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা এই বাজারের স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলছে স্থানীয় একটি মহল। 

স্থানীয়রা ও দোকানদারা বলেন,  বৌ-বাজারের রেললাইনের মাঝখানে এবং দুইপাশে গড়ে উঠা ছোট-বড় কয়েকশো দোকানের ভাড়া হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে অগ্রিম বাবদ দিতে হয় সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা। প্রতিদিন এসব দোকান থেকে ১৫০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় চলে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের আওতাধীন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে বস্তি, রিকশার গ্যারেজ ও স্থায়ী মার্কেট। আছে একটা চোরাই মার্কেট, যার প্রচলিত নাম- চোরাই জুতার বাজার। এসব অনিয়ন্ত্রিত বাজার এলাকায় বসবাস করে অধিকাংশ কিশোর গাং সদস্যরা। 

এ বিষয়ে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের  যুগ্ম আহ্বায়ক কবির বেপারির বলেন,বাজারের চাঁদা উঠানোর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে শুনেছি অন্য কেউ তুলে।

মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল কবির বলেন, রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে । এগুলো উচ্ছেদ করে রেল চলাচল নিরাপদ করা ও একটি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা প্রয়োজন। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌ বাজার এলাকার কাজল মুন্সি বলেন, এই রেলওয়ের জায়গা যারা দখল করে ব্যবসা করছে, তারা খুবই প্রভাবশালী। কোনো বাঁধায় তারা পিছপা হয় না।

এ বিষয়ে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান বলেন, ওই জায়গা রেলওয়ের হলেও এটা টঙ্গী স্টেশনের আওতায় না। এটি ঢাকা বিভাগীয় ভূসম্পত্তির আওতায়। তবুও আমরা রেলওয়ে পুলিশের মাধ্যমে বাজার সরানোর চেষ্টা করেছি। দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় সেটা সম্ভবপর হয় না।