সারা বাংলা

কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ, আহত ৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্তত ৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল, ৩টি চকলেট বাজি ও ১ রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করেছে।

শনিবার (৩ জুলাই) দিবারাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

রোববার (৪ জুলাই) সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন— চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিবি রহিমা খাতুন (৩৬), ছেলে মো. রাজীব (২২), চেয়ারম্যানের বোন পারুল আক্তার (৪০), জয়গুণ বিবি (৫০), ভাতিজা ইমরান হোসেন (২৮)।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, হেলাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী তার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার বসত ঘরের সামনের অংশ কুপিয়ে তছনছ করে দেয়। একপর্যায়ে তারা বসত ঘর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তার পরিবারের ৬ সদস্য আহত হন।

চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ায়ী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি বলেন, ‘এটি সাজানো নাটক। যখন হামলার ঘটনা ঘটে তখন আমরা বসুরহাট বাজারে ছিলাম।’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এঘটনা চেয়ারম্যান রাজ্জাকের সাজানো নাটক। তার কোনো লোক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া কোম্পানীগন্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুষ্প বরণ চাকমা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল ৩টি চকলেট বাজি ও বসতঘর থেকে ব্যবহৃত এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।

এসআই আরও জানান, এ সময় হামলাকারীদের আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহিরে পালিয়ে যায়। তবে আহতদের আঘাত বেশি গুরুত্বর নয়।

ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযাগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।