সারা বাংলা

অক্সিজেন না পেয়ে বাবার মৃত্যু: অভিযুক্ত এএসআই ক্লোজড, তদন্ত কমিটি গঠন

সাতক্ষীরায় অসুস্থ বাবার জন্য অক্সিজেন নিতে আসা যুবককে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত আলোচিত সেই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুভাষ চন্দ্রকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) ইকবাল হোসেন প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের ওলিউল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ তার বাবা রজব আলী মোড়লের জন্য বৃহস্পতিবার জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি শহরের পলাশপোল এলাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছালে তাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র শিকদার। লকডাউনে বাহিরে বের হওয়ার কারণে তিনি তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে না পারায় তাকে দুই ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখা হয়। পরে ইটাগাছা এলাকার জিয়াউল ইসলামের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে ওই পুলিশ কর্তা তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে গিয়ে দেখেন অক্সিজেনের অভাবে তার বাবা মারা গেছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘যদি সময় মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত। তিনি এই অমানবিক ঘটনার বিচার দাবি করি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র শিকদার জানান, বেপরোয়া গতিতে আসছিল মোটরসাইকেলটি। কাগজপত্রও ছিল না। পরে ঘটনা শুনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২/৩ মিনিট মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাখা হয়েছিল।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, এর মধ্যে এ ঘটনায় এএসআই সুভাষ চন্দ্রকে শিকদারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) ইকবাল হোসেন প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও ইটাগাছা পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারেক আজিজ।