সারা বাংলা

রাতের আঁধারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭টি ঘর গায়েব

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৩টি ঘরের মধ্যে ৭টি ঘর রাতের আঁধারে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ঢাকতে ঘরগুলোতে লোক ওঠার আগেই গায়েব করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দেশব্যাপী মুজিববর্ষের উপহার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর নির্মাণে ত্রুটি নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে সেই মুহূর্তে ঘরগুলো ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হলো।

ভাঙা ঘরের অবশিষ্ট জিনিসপত্র ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামে সম্প্রতি রাতের আঁধারে ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হয়।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বিষয়য়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুকুর পাড়ে ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এমপি ও উপজেলা প্রশাসন সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঘরগুলো স্থানান্তর করার জন্য ভাঙা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে অনেক লোকজন স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ঘর ভাঙা শুরু করে। ট্রাকে করে ঘরের ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। তাছাড়া জানালা দরজাগুলো অন্য একটি ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। স্থানীয়রা সে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বলেন, এখন ওই ঘরে লোকজন তুলে দিলে জীবনের ভয় আছে। তাই ঘরগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কলারোয়া লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, ১৩টির মধ্যে ৭টি ঝুঁকিমুক্ত থাকায় সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকী ৬টি ঘর সেখানেই রয়েছে।

কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন কান্তার আমলে যে কাজগুলো করা হয়েছে তা প্রতিটিই প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে তিনি প্রত্যাহার হয়েছিলেন। তিনি গরীব-দুঃখীর হক যে নষ্ট করেছেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান।

তিনি বলেন, আমাদের কথা আমলে না নিয়ে ঘরগুলি তৈরি করা হয়। নির্মাণ কাজে ত্রুটির কারণে অল্প দিনের মধ্যেই ঘরগুলো ফাটল ও ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পুকুর ভরাটের জন্য আরোও ৬ লাখ টাকা খরচ করেন উপজেলা অফিস থেকে। গত ৫ দিন আগে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৈলকুপি গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর অন্যস্থানে তৈরির জন্য বুলডোজার লাগিয়ে ভেঙে ফেলেন।