সারা বাংলা

ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম টিটু হাওলাদারকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।

সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নির্বাচনি দ্বন্দ্বের জেরে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাজির ইটভাটা এলাকায় বর্তমান সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিপন জোমাদ্দারের লোকজন প্রকাশ্যে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের পথরোধ করে। এ সময় আমাকে মারধর করে আমার স্বামীকে অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আমি স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে বেতাগী থানায় অভিযোগ করে স্বামীকে খোঁজাখুজি করতে থাকি। বিকেলে গৌরিচন্না এলাকার স্থানীয়রা আমাকে ফোন করে জানায়- আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে বেধড়কভাবে পেটাচ্ছে। পরে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।’  

নিহত ইউপি সদস্য টিটুর ভাইয়ের ছেলে বায়েজিদ বোস্তামি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলাম স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ শরীফের। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন আগে থেকেই। নির্বাচনের আগে একাধিকবার আমার চাচাকে বর্তমান চেয়ারম্যান শিপন জোমাদ্দার হত্যার হুমকি দেন। আজ তারা মেরেই ফেললো। ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে হত্যা করেছে।’  

জেলা সদর হাসপাতালে সুরতহাল করতে এসে বরগুনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, মৃতদেহের প্রাথমিকভাবে সুরতহাল করা হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্ত করার জন্য মর্গে মৃতদেহ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক রাইজিংবিডিকে বলেন, এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত চলছে। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। 

এই হত্যায় যেই জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক।