সারা বাংলা

একমাত্র সম্বল রিকশা চুরি, ঈদের আগে কাঁদছেন ওবায়দুল 

এক দিন পর ঈদ। ঈদের আগে উপার্জনের একমাত্র সম্বল রিকশা হারিয়ে পাগল প্রায় মাগুরার দরিমাগুরা এলাকার ওবায়দুল হোসেন।

প্রতিবেশীরা জানান, বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন ওবায়দুল হোসেনের স্ত্রী। করোনার কারণে তাও বন্ধ। সংসার চালাতে ৬৫ বছর বয়সেও রিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন ওবায়দুল হোসেন। কিন্তু উপার্জনের একমাত্র সম্বলটি হারিয়ে ফেলায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। 

কান্নাজড়িত গলায় ওবায়দুল হোসেন জানান, স্ত্রী আর বাক প্রতিবন্ধী নাতনিকে নিয়ে রিকশা চালিয়ে কোনো মতে সংসার চলছিল তার। লকডাউনের ফাঁকে ফাঁকে যা আয় করতেন তা দিয়ে কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে চলছিলো। গত ১৮ জুলাই সকালে কারিকর পাড়া এলাকার নিজ বাড়ির সামনে রিকশা রেখে বাড়ির ভেতরে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও রিকশাটি না পেয়ে তিনি মাগুরা সদর থানায় একটি জিডি করেছেন।  

তিনি জানান, দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে নিরুদ্দেশ এবং ছোট ছেলে ঢাকায় ছোটখাট কাজ করে। সে বাড়ির কোনো খোঁজ খবর রাখে না। ৩ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

ওবায়দুল হোসেনের স্ত্রী জানান, শত কষ্টের মাঝেও কারও কাছে হাত পেতে কিছু চাইতে যেন না হয় সেজন্যই এই বৃদ্ধ বয়সে ধারদেনা করে একটি রিকশা কিনেছিলেন। রিকশা চালিয়ে সামান্য যা আয় হতো তাই দিয়ে কোনো মতে সংসার চলছিলো। কিন্তু রিকশা চুরির পর এখন আর আয়ের কোনো পথ থাকলো না। এখন আমি খাবো কী? 

ওবায়দুল হোসেন বলেন, ‘আমার রিকশাটি ফিরে পেতে কাজ করে খেতে পারতাম। না হলে স্ত্রী, নাতনি নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’