সারা বাংলা

জমেনি যশোরের রাজারহাট চামড়া মোকাম

যশোরের রাজারহাট মোকামে কোরবানির চামড়ার হাট জমেনি। গত বছরের মতো এবারও এ হাটে কোরবানির পশুর চামড়ার যৌক্তিক দাম মেলেনি।

শনিবার (২৪ জুলাই) বৃষ্টির কারণে চামড়ার যোগান ছিল কম, আবার দাম নিয়েও অস্তুষ্টি রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তবে বাজার কর্মকর্তাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবেই চলেছে বেচাকেনা।

চামড়া বিক্রেতাদের অভিযোগ, যশোরের রাজারহাটে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক কমে। ‘লকডাউনে’ আসেননি দূরবর্তী জেলার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ব্যাপারিও। দুর্ভোগ ঠেলে যারা এসেছেন বৃষ্টির কারণে পড়েছেন দুর্গতিতে।

ব্যাপারি ও ট্যানারি মালিকদের দাবি, গতবারের চেয়ে এ হাটে দাম বেশি। এখান থেকে চামড়া কিনে লাভের আশা কম। তাই আগামী হাটের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় দেখছেন না তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঋণ নিয়ে চামড়া ক্রয় করেন তারা। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ না করায় পুঁজি সঙ্কটে পড়েছেন তারা। তবে হতাশ নন চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তাদের আশা পরবর্তী হাটের দিন আগামী শনিবার বাইরের জেলা থেকে ব্যাপারি এলে দাম বাড়বে চামড়ার।

হাটের এ অবস্থাকে বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করলেন জেলা বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান।

রাজারহাট মোকামে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ শতাধিক আড়ৎ রয়েছে। যেখানে প্রায় ২০ হাজার ব্যবসায়ী লেনদেন করছেন। এখানে খুলনা বিভাগের দশ জেলা ছাড়াও ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর এবং ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচাকেনা করেন।