সারা বাংলা

ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দিতেন তিনি

চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া না করেই রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিতেন জালাল উদ্দিন (৩৮)।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চালাবাজার এলাকায় রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে কাপাসিয়া উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা বিষয়টি জানিয়েছেন। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জালাল উদ্দিন কাপাসিয়া উপজেলার চালাবাজার এলাকার হাসান আলীর ছেলে।

ইউএনও মোসা. ইসমত আরা জানান, জালাল উদ্দিন চালাবাজার মায়া ডায়াগনিস্টিক অ‌্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার খুলেছেন। তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স পাশ করলেও ওই ক্লিনিকে বসে শিশু ও নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাপত্র / ব্যবস্থাপত্র দিতেন। রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসা নিয়ে বের হওয়ার পরে এক শিশুর ব্যবস্থাপত্র জব্দ করে ক্লিনিক জালাল উদ্দিনকে দেখালে তা তারই দেওয়া বলে স্বীকার করেন তিনি।

এসময় জালাল উদ্দিন জানান, ক্লিনিক ডাক্তারের অবর্তমানে ওই শিশুকে এ চিকিৎসাপত্র প্রদান করেছেন। পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেছেন তিনি ডিগ্রিধারী কোনো চিকিৎসক নন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র আওতায় এক কলেজ থেকে ২০০৫ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও মাস্টার্স পাশ করেছেন বলেও জানান।

ইউএনও আরও জানান, চার মাস বয়সী ওই শিশুকে ব্যবস্থাপত্রে যে ওষধ ও সেবনের ডোজ উল্লেখ করেছেন তা ৬ বছর বয়সী শিশুর বেলায় প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

চিকিৎসক না হয়েও এ ধরনের চিকিৎসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ মেডিক‌্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী জালাল উদ্দিনক ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।