সারা বাংলা

ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  বৈরী আবহাওয়ায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মি.মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে টানা বর্ষণের সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো বাতাস। এতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী, পোকখালী, ভারুয়াখালী, গোমাতলী, ঈদগাঁও, ইসলাম, পেকুয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, উখিয়ার জালিয়াপাড়া, ইনানী, টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাবরাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ৭ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে বাহারছড়া ইউনিয়নে একদিকে পাহাড়ধস অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বসবাসকারী মানুষগুলো পাহাড়ধস ও জোয়ারের পানির আতঙ্কে রয়েছে।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে। তবে কয়টি ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে তা জানতে সময় লাগবে। কিছু পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার উপকূলে যে সমস্ত নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৭ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।