সারা বাংলা

ডব্লিউএফপি’র রেশন নিচ্ছে না ২২ হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ৩ হাজার ৭০০ পরিবারের অন্তত ২২ হাজার রোহিঙ্গা ডব্লিউএফপি'র খাদ্য রেশন নিচ্ছে না বলে জানা গেছে।

টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৫ এর রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গারা বিতরণ কেন্দ্রের আশেপাশে থাকলেও গত এক মাস ধরে খাদ্য বা রেশনের জন্য যাচ্ছে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, গত এক মাস নিবন্ধিত ৩ হাজার ৭১২ পরিবার রেশন নেয়নি। অনেকে রেশনের জন্য আসতে চাইলেও বাকিরা বাধা দিচ্ছে। মূলত রেশন কার্ড নিয়ে তাদের আপত্তি।

১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে সরকার। এরপর নানা ভাবে তাদের সহযোগিতা দিয়ে আসছে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী’ (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি) তাদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে।

সম্প্রতি ডব্লিউএফপি'র কর্মকর্তারা নিবন্ধিতদের আলাদা করে তালিকা করে। জুলাই মাসের শুরু থেকে এসব পুরাতন রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার কার্ড নিয়ে ২০১৭ সালে আসা নতুন রোহিঙ্গা সঙ্গে সংযুক্ত করে কার্ড বিতরণ করে। কিন্তু সে কার্ড নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গত এক মাস ধরে রেশন নিচ্ছে না ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গার বক্তব্য, ১৯৯২ সালে আমাদের বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত করেছে। প্রতি মাসে এক নয় তো দুইবার রেশন পেতাম। খাদ্য সংস্থা থেকে যে কার্ড দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে নতুনদের সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের কার্ড দেওয়া হচ্ছে। আমরা সেই কার্ডে সন্তুষ্ট না, তাই নিচ্ছি না। পুরাতন কার্ডই চাই। নতুনদের সঙ্গে নয় আমরা নিবন্ধিত সেটাতেই থাকতে চাই।

২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে অন্তত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। নতুন পুরাতন মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে। যার মধ্যে কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত, বাকিরা অনিবন্ধিত হিসেবে বসবাস করছে।