সারা বাংলা

সিলেট বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮০২

সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২৮ জুলাই একদিনে একই সংখ্যক মৃত্যু খবর জানিয়েছিলো স্বাস্থ্যবিভাগ।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮০২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এটিও এখন পর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্ত।  এর আগে ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ৭৩৬ জনের করোনা শনাক্তের খবর জানানো হয়।

স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই সিলেট জেলার, আর তিনজন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত বিভাগের চার জেলায় মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৮৪ জনের মৃত্যু হলো।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় ও পরিসংখ্যানবিদ মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের চার ল্যাবে ১৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, এর মধ্যে ৮০২ জনের পজিটিভ ফল আসে; সেই হিসাবে শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। 

নতুন শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত সিলেট জেলায়। এ জেলায় ৪১৩ জন, সুনামগঞ্জে ১২১ জন, হবিগঞ্জে ৫১ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সিলেট জেলায় ১৪ জন, সুনামগঞ্জে ৮৮ জন, হবিগঞ্জে ৫১ জন এবং মৌলভীবাজারে ৬৪ জনসহ মোট ২১৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের চার জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ১১৯ জনে।

এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২১ হাজার ৫২৫ জন, সুনামগঞ্জে ৪৫৭৩ জন, হবিগঞ্জে ৪৪৫১ জন, মৌলভীবাজারে ৫৩৬৪ জন এবং সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪১৩ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৩০ হাজার ৩২০ জন।

মোট শনাক্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৮৪ জনের। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৫৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ৪৯ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন এবং মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্ত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন হাসপাতলে ৭৬ জন করোনা পজিটিভ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ৪০২ জন ভর্তি আছেন।

আর অন্য অ্যাকটিভ রোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডা. হিমাংশু লাল রায়।

এদিকে, করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের মধ্যে শুক্রবার (৩০ জুলাই) ছুটির দিন হওয়ায় নগরের রাস্তা ঘাটে নেই যানবাহন চলাচল, নেই জনসাধারণের চলাচলও। আর যারা বের হচ্ছেন তারা জরুরি প্রয়োজনের তাগিদে বের হচ্ছেন।

তবে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন মাঠে।

মহানগরজুড়ে অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম মাঠে আছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।