সারা বাংলা

টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতি

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। রোববার (১ আগস্ট) ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার হতে টাঙ্গাইলের রাবনা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এতে গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষেরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের রাবনা, বেথইর, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি ও এলেঙ্গাতে ঢাকামুখী যানবাহনের দীর্ঘ চাপ। খোলা ট্রাক, পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। কাউকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশের কোন তৎপরতাও দেখা যায়নি।

বগুড়া থেকে আসা ট্রাক চালক হুমায়ন বেপারি বলেন, সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ থেকে যানবাহনের চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে টাঙ্গাইল অংশে ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে।

গার্মেন্টস কর্মী শেফালি বলেন, ‘হঠাৎ অফিস খুলে দেওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ৩০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।’

রফিক নামের অপরজন বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ঝুঁকি থাকলেও গার্মেন্টসে যেতে হচ্ছে। না গেলে চাকরি থাকবো না। তখন না খেয়ে মরতে হবে। তাই করোনার ঝুঁকি ও দুর্ভোগে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।