সারা বাংলা

মধ্যরাতে পাখির কলরব

মধ্যরাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ পাখির কিচির মিচির। সড়কের উপর ঝোলানো তারে আর কাঁঠাল গাছে শতাধিক চুড়ুই পাখির কলরবে মুখরিত পুরো এলাকা। গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ডিসি রোডে এমন দৃশ্যের দেখা মিললো।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অঝোর ধারায় চলছে বৃষ্টি। একদিকে লকডাউন চলমান অন্যদিকে এমন ঝুম বৃষ্টির আবহে নিশ্চুপ থাকা ঘুমন্ত শহর হঠাৎ করে কিচির মিচির শব্দে যেন জেগে উঠলো।

গভীর রাতে ল্যাস্পপোস্টের আলোয় দেখা গেলো সড়কের ওপর ঝুলে থাকা তারে আর পাশের কাঁঠাল গাছে বসে রয়েছে শতাধিক চড়ুই। কোন চড়ুই চুপচাপ ভিজছে আবার দু-একটাকে ফুড়ুৎ করে উড়তেও দেখা গেলো।

তবে করোনাকালে সজীব প্রকৃতির পাশাপশি রাতে পাখিদের এমন ওড়াউড়ি আর কিচির মিচির ডাক মনে যেন এক মধুর আবেশ তৈরি করে।

ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা সম্পা সাহা বলেন, রাতের কাজ শেষে ঘুমাতে যাবো এসময় সময় পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে পেলাম। বেলকনিতে গিয়ে দেখি তারে আর পাশের কাঁঠাল গাছে বসে রয়েছে শতাধিক চুড়ুই। এমন দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লেগেছে। মন থেকে যেন সারাদিনের ধকল পোহানোর বিষাদ উড়ে গেছে এক নিমিষে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কল কারখানার ধোয়া, কয়লা পোড়ানো ধোয়া ও যত্রতত্র গাড়ির হর্ণ বাজানোর কারণে পরিবেশ যেমন দূষণ হয়, তেমনি শব্দ দূষণও হয়। এতে প্রকৃতির নিজস্বধারা ব্যহত হয়। তবে করোনাকালের এ সময়ে সব কিছু বন্ধ থাকায় ও পরিবেশ দূষণমুক্ত হওয়ায় নিজস্বধারা ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি, প্রাণি ও পক্ষীকুল । দিনেই নয় রাতেও পাখির কলকাকলিতেও মুখরিত হয়ে উঠছে পরিবেশ।