সারা বাংলা

পথচারীর মন কাড়ে চোখ জুড়ানো লাল পদ্ম 

ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। সুন্দর মনের মানুষই ফুল বেশি ভালোবাসেন। ফুল যেখানেই ফুটুক রাস্তার ধারে, ডোবা-নালা, নার্সারি কিংবা বসত বাড়িতে সব জায়গায়ই উপভোগ্য। দিনাজপুরের হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের বাওনা মোড়ের রাস্তার কোল ঘেঁষে একটি ডোবায় দেখা যায়, লাল পদ্মফুল। 

হিলি থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূ্র্বে ঘোড়াঘাট সড়কে বাওনা মোড়ে রাস্তার পাশেই ডোবা। সেখানে ফুটেছে বড় আকারের লালপদ্ম ফুল, পাতাগুলো যেন হাতির কানের মতো। পাতার উপরে ফোটা ফুল আর ডোবা দেখে মনে হবে কোনো একটি পার্কের ভেতরের দৃশ্য।  এমন দৃশ্য কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীসহ পথচারীদের মন। আবার হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কে যাতায়াতকারী সব যানবাহনে থাকা যাত্রীদেরও নজর কেড়ে নেয় এই ফুলগুলো। 

পদ্ম সাধারণত সাদা, নীল আর লাল হয়ে থাকে। কোনোটার আকৃতি ছোটও হয়, তবে এই স্থানের পদ্মগুলোর আকার অনেক বড়, দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ফুলগুলো সকাল হলেই তাদের পাপড়ি ছড়াতে থাকে, আবার দুপুরের পর থেকেই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। দেখে মনে হয়, সার্কাস খেলা।  তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুলগুলোর লীলাখেলা দেখেত ভিড় জমায় সবাই।

রেজাউল করিম। পড়েন কলেজে। তিনি বলেন, ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক, তাই কম-বেশি সবাই ভালোবাসে। আমার ফুল খুব ভালো লাগে, বাড়িতেও আমার অনেক প্রকার ফুলের গাছ রয়েছে। এই গ্রামেই আমার বাড়ি। কিছু দিন থেকে এই ডোবায় পদ্মগুলো ফুটছে। সকাল হলেই ফুলগুলোকে দেখতে আসি।

মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী জানান, আমরা হাসপাতালে চাকরি করি, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের আসা-যাওয়া করতে হয়। সকালে যাবার সময় ডোবায় লাল পদ্মফুলগুলো ফুটে থাকে, একটু দাঁড়িয়ে দেখে যাই। তবে ফেরার পথে পাপড়িগুলো মেলা অবস্থায় আর দেখা যায় না।

১১ বছর বয়সী কিশোর রানাকে ডোবায় দাঁড়িয়ে থাকার বিষয় জানতে চাইলে সে বলে, ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ডোবায় নামার চেষ্টা করছি, কিন্তু এখানকার লোকজন নামতে দেয় না।

বাওনা মোড়ের স্থানীয় দোকানদার আমজাদ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রতিবছর আমাদের এই ডোবায় বড় বড় লাল পদ্মফুল ফোটে। এটা আমাদের এখানকার একটা সৌন্দর্য। আমরা এই সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেই না। গ্রামসহ বাইরের ছেলেরা ফুলগুলো পানিতে নেমে ছেড়ার চেষ্টা করে। তবে আমরা সবসময় খেয়াল রাখি, এটা আমাদের সুন্দর পরিবেশ।