রাজবাড়ীর ৫৪ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক করোনার গণটিকা কার্যক্রম। কিন্তু কেন্দ্রগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
শনিবার (৭ আগস্ট) রাজবাড়ী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, পাংশা পৌরসভার ১টি ওয়ার্ড এবং ৪২ টি ইউনিয়নে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন।
তিনি জানান, রাজবাড়ী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২০০ জন করে এবং প্রতিটা ইউনিয়নে ৬০০ জন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে চীন থেকে আসা সিনোফার্মার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছেন অনেকে। ২৫ বছরে বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা কেন্দ্রে হাজির হন। শুধু রাজবাড়ী পৌরসভায় রয়েছে ৪৫ হাজার টিকা গ্রহণকারী। এর ফলে কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে মানুষের ভিড়। কেউ সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ ১ হাজার ৮০০ জন টিকা পাবেন। পরবর্তীতে ১৪ তারিখ থেকে গণহারে টিকা দেওয়া শুরু হবে। তবে পৌর এলাকার কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে এসে অনেকেই ফিরে গেছেন টিকা না পেয়ে। কারণ বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কপিও লাগবে। এই নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
টিকা নিতে আসা ৮ নং ওয়ার্ডের তানভীর ফেরদৌস স্বপ্নীল বলেন, ‘সকাল থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সঙ্গে আসা অনেকেই টিকা পেলেও আমি এখনও পাইনি।’
১ নং ওয়ার্ডের মিথিলা দত্ত জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী টিকা নিতে এসেছি। জানতাম যে, শুধু পরিচয়পত্র আনলেই টিকা নেওয়া যাবে। কিন্তু কেন্দ্রে আসার পর জানতে পারি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরে গিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে আসি।
৮ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। তাই এই কেন্দ্রে চাপটাও বেশি।’
এদিকে, বালিয়াকন্দি নাড়ুয়াতে এক নারীকে ২ বার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাফিন জব্বার নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে উত্তেজনা বিরাজ করছে।