সারা বাংলা

পাট চাষিদের মুখে হাসি

জামালপুরে পাটের দাম বেশি থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরজমিনে দেওয়ানগঞ্জ গেলে দেখা যায়, এখনো অনেক চাষি ভেজানো কাটা পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে আঁশ শুকিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন। আলাপকালে একজন পাটচাষি জানালেন, এবার তার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।   

সরিষাবাড়িতে মৌসুমের নতুন পাটের বেচাকেনা জমে উঠতে দেখা গেছে। সরিষাবাড়ির ঘাটে পাট বোঝাই নৌকার ভিড় দেখা যায়। চাষিরা ভালো দাম পাবার আশায় দূরের গ্রাম থেকে প্রক্রিয়াজাত করা পাট নিয়ে ছুটে এসেছেন।

আলাপকালে চাষিরা জানান, পাট চাষ করে তিন মাসের মধ্য পাট ঘরে তোলা যায়। কম সময়ে, কম পরিশ্রমের ফসল পাট। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৮থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হয়। এবার বাজারে পাটের মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবার বন্যা না হওয়ায় পাট চাষিদের পাটের কোনো ক্ষতি হয়নি। পাটের ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তারা।

পাট চাষি আবুল কাশেম বলেন, সোয়া ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ করেছি ১৫ হাজার টাকা। ওই জমিতে ১৮ মণ পাট হয়েছে। প্রতি মণ ২ হাজার ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি এতে আমার খরচ বাদে ৩৭ হাজার ২০০ টাকা লাভ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নিতাই চন্দ্র বণিক জানান, জামালপুরে ৩০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে দেশি, তোশা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাটের চাষ হয়েছে। পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার চাষিরা বেশ লাভবান হবেন। এই পাট বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা ঘরে তুলতে পারবেন পাট চাষিরা।